অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বেড়েছে গরমের তীব্রতা, সঙ্গে সারাদেশেই বেড়েছে এয়ার কন্ডিশনার বা এসির ব্যবহার। তবে কখনো কখনো এই যন্ত্রটি নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে। বর্তমানে প্রায় নিয়মিতই এসি বিস্ফোরণে হতাহতের খবর পাওয়া যায়। তবে সতর্কতামূলক কিছু ব্যবস্থা নিলে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যেতে পারে।
এসি ব্যবহার: এসি দুর্ঘটনা বেশ অবাক করার মতো হলেও, এসি বিস্ফোরিত হওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এটি আমাদের এবং আমাদের পরিবারকে নিরাপদ রাখবে।
এসি সার্ভিস: এসি ওয়্যারিং চেক করতে কোম্পানির একজন টেকনিশিয়ানকে কল করা উচিত এবং আলগা সংযোগগুলি পরীক্ষা করানো উচিত। সম্ভাব্য সমস্যা দেখা দেয়ার আগেই চিহ্নিত করে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
এসি থেকে শব্দ: এসি ইউনিট থেকে অস্বাভাবিক শব্দ বা গন্ধ আসন্ন বিপদের লক্ষণ। যদি এসি ইউনিট আওয়াজ করে, অত্যধিক কম্পন হয় বা পোড়া গন্ধ বের হয়, তাহলে অবিলম্বে এটি বন্ধ করে একজন টেকনিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
আরো পড়ুন:
‘ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল, তা মাটি চাপা দিয়েছে খুনিরা’!
এসি এয়ার ব্লোয়ার: এসি ব্লোয়ার পরিষ্কার না করলে, এসির শীতল করার ক্ষমতা কমে যায় এবং এটি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় কারণ এটিকে ঘর ঠান্ডা করতে আরও পরিশ্রম করতে হয়। সুতরাং, ১৫ দিনে একবার ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে।
আউটডোর ইউনিট: এসি আউটডোর ইউনিটগুলিতে, ধুলো জমেও কন্ডেন্সার কয়েলগুলোকে ব্লক করতে পারে, এতে এসির দক্ষতা হ্রাস পায় ও অতিরিক্ত গরম হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই আউটডোর ইউনিটগুলোও পরিষ্কার রাখতে হবে। কোম্পানিই সাধারণত এমনটা সুপারিশ করে।
এসির অবস্থান: নিশ্চিত করতে হবে যে, এসির আউটডোর ইউনিটের চারপাশের জায়গাটি ভাল ভাবে বায়ুচলাচল হয়।
ইউনিটের চারপাশে কমপক্ষে দুই ফুট ক্লিয়ারেন্স বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। ইউনিটের কাছে গ্যাসোলিন বা পেইন্টের মতো দাহ্য পদার্থ রাখা উচিত নয়।
এক্সটেনশন কর্ড: এসি ইউনিট হিসাবে আলাদা তারের প্রয়োজন। এক্সটেনশন কর্ড ব্যবহার করলে সার্কিট ওভারলোড হতে পারে এবং অতিরিক্ত গরম হতে পারে। এতে আগুনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।